এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন জনবহুল স্টেশনের ঈদ বাজারে ৮ঘন্টার অভিযান পরিচালনা করেছেন ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত।আজ শুক্রবার ২২ মে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা আটঘন্টার অভিযানে আদালত ২০টি মামলায় বিভিন্ন দোকানীকে দেড়লাখ টাকা জরিমানা এবং তিনটি দোকান সিলগালা করে দিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ থেকে জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা রয়েছে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত খাদ্যপন্য, কাচাঁবাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যসব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কিন্তু প্রশাসনের ওই নির্দেশনা লঙ্ঘন করে কতিপয় ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন চকরিয়া উপজেলা প্রতিটি জনপদে দোকান খোলা রেখে ব্যবসা চালাচ্ছে।
এরই প্রেক্ষিতে নিত্যদিন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে। বন্ধ করে দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্টান। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছেনা না। নারী-পুরুষরা ভোর হলেই দলে দলে বের হচ্ছে ঈদের কেনাকাটা করতে। এ অবস্থায় সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার ২২ মে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের মাছঘাট বিভিন্ন বস্ত্রবিতান , ডুলহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট বিপণী বিতান, চকরিয়া পৌরসভার আমেনা শপিং কমপ্লেক্স, পৌরসভার পালাকাটার বিভিন্ন বিপণী বিতানে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত।
ওইসময় আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ সরকারি আদেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় বিভিন্ন দোকানীকে ২০টি মামলায় ১,৪৫,৫০০ টাকা জরিমানা এবং তিনটি দোকান সিলগালা করে দিয়েছেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ চকরিয়া নিউজকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে দোকানপাট বন্ধ রাখুন। জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। তারপরও কেউ দোকান খোলা রাখলে সেখানে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ঘরে থাকবেন নিরাপদে থাকবেন। আপনি ও আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখুন।
পাঠকের মতামত: